তথ্য প্রযুক্তি

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, শুরুতেই চমক স্পিড ও সেবায়!

৪২০০ টাকা থেকে শুরু, আনলিমিটেড স্পিড—দুর্গম এলাকাতেও পৌঁছাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা

এবিএনএ: 

বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবায় যুক্ত হলো নতুন মাত্রা। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী স্টারলিংক এবার দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

বিশ্বজুড়ে দ্রুতগামী ইন্টারনেট প্রযুক্তির জন্য পরিচিত স্টারলিংক, এবার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করেছে দুটি নতুন প্যাকেজ—‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’।

মাসিক খরচ শুরু হচ্ছে ৪২০০ টাকা থেকে, আর উচ্চতর প্যাকেজের জন্য মাসে গুনতে হবে ৬০০০ টাকা। তবে উভয় প্যাকেজেই প্রাথমিকভাবে ৪৭ হাজার টাকার ডিভাইস সেটআপ এককালীন ক্রয় করতে হবে।


📡 কী থাকছে স্টারলিংকের সেবায়?

  • ডেটা লিমিট নেই: ব্যবহারকারীরা আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

  • সর্বোচ্চ স্পিড: সর্বোচ্চ গতি ৩০০ Mbps পর্যন্ত পেতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

  • সারাদেশে সেবা: শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম—স্টারলিংকের টার্গেট হচ্ছে দেশের সব অঞ্চল।


স্টারলিংকের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাক ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব নিজ ফেসবুক পোস্টে জানান,

“গতকাল বিকেলে ফোনে স্টারলিংক কর্তৃপক্ষ আমাকে তাদের সেবার আনুষ্ঠানিক সূচনার বিষয়টি জানায় এবং আজ সকালে তারা এক্সে পোস্ট দিয়ে তা নিশ্চিত করেছে।”


🌍 কেন গুরুত্বপূর্ণ স্টারলিংকের আগমন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও এটি প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও উচ্চগতির বিকল্প। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের যেসব দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ফাইবার বা ব্রডব্যান্ড পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে:

  • এনজিও

  • ফ্রিল্যান্সার

  • উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
    পাবে কার্যকর এবং টেকসই ইন্টারনেট সংযোগ।


📦 কবে থেকে অর্ডার করা যাবে?

বাংলাদেশের গ্রাহকরা ২০ মে থেকেই স্টারলিংক প্যাকেজ অর্ডার করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অনুযায়ী মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ সাফল্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Share this content:

Back to top button