লাইফ স্টাইললিড নিউজ

ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে

এবিএনএ : বয়স বাড়ুক আর না-ই বাড়ুক, এখন সবচেয়ে বড় ভীতির নাম যেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া। এটা-সেটা খাওয়া মানা, এত কিছু মেনেও যেন স্বস্তি মেলে না ডায়াবেটিস রোগীদের। তবে রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন, এমন কিছু খাবারের কথাই তুলে ধরা হলো আজকের আয়োজনে—

সবুজ খাবার

বাঁধাকপি, সরিষা শাক, শালগমের পাতা ইত্যাদি কম ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত হওয়ায় এসব খাবার নিত্যকার খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত্ বেড়ে যেতে দেয় না এ ধরনের কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। এছাড়া এ ধরনের খাবার পর্যাপ্ত ফাইবার ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

শস্যজাতীয় খাবার

বার্লি ও ওটস যথেষ্ট ফাইবার সমৃদ্ধ। শস্যজাতীয় খাবার খুব ধীরে হজম হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত্ করে বেড়ে যেতে পারে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনতেও এ ধরনের খাবারের বিকল্প কমই আছে। অত্যধিক ওজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বড় মাত্রার ঝুঁকি, সেটা কে না জানে। তাই খাদ্যতালিকায় এখন থেকেই যোগ করুন শস্যজাতীয় খাবার।

কুমড়ার বিচি

কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে লিগনান নামে ফাইবার রয়েছে। ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হূদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেলে। ডায়াবেটিস রোগীরা কুমড়ার বিচি সামান্য ভেজে সঙ্গেই রাখতে পারেন। যখনই শর্করাজাতীয় খাবার খেতে মন চাইবে, তখনই কয়েকটি বিচি মুখে পুরে চিবাতে থাকুন।

পেয়ারা

ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই যে কথাটি শুনে থাকেন, সেটি হলো ফল খেতে মানা। কিন্তু পেয়ারা খেতে মানা নেই। কেননা এ ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার। অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানও রয়েছে পেয়ারায়। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই ভোগেন কোষ্ঠকাঠিন্যে, তাই তাদের জন্য এ ফল বেশ ভালো সমাধান এনে দিতে পারে।

বিটরুট

ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবারের বেশ ভালো উত্স বিটরুট। আর এসব খাদ্য উপাদান ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button