জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের ‘শেষ হওয়ার আগে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না’

এবিএনএ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। আলোচনা আরও হবে। আলোচনা এখনো শেষ হয়নি।আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কলপ্লেক্সে সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শহীদ শেখ কামালের ৬৮তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাসভবনের নৈশভোজের বিষয়ে তিনি একথা বলেন।

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় নিয়ে চলমান বির্তকের মধ্যে শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নৈশভোজে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, অফ দ্যা রেকর্ড বলি, এই কয়েকদিন বাংলাদেশে যে বিষয়টি এতো বেশি আলোচিত, এখন আপনারা এতো উৎসুক নিয়ে জানতে এসেছেন, কিন্তু কালকে তো আপনাদের একটা দুর্বল দিক খুঁজে পেলাম। আমি একটা বাড়িতে এতক্ষণ ছিলাম। কেউ খুঁজেও পেলেন না। কেউ নিউজটা দিতেও পারলেন না।উল্লেখ্য, একমাত্র দৈনিক আমাদের সময়েই বৈঠকের রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া অন্য কোনো মুদ্রণ মাধ্যম কিংবা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ আসে নি শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে বেশি কথা বলব না। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমি তার সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের যে পর্যবেক্ষণ বা অবজারভেশন ছিল, সেগুলো নিয়ে আমি আমাদের পার্টির বক্তব্য তাকে জানিয়েছি। তার সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘক্ষণ হয়েছে। আরো আলোচনা হবে। আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। শেষ হওয়ার আগে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। সময় মতো সব কথাই আপনারাও জানবেন, আমিও বলব।  ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কাদের বলেন,  বেশি লোক দেখলে ভয় পাই। কারণ ক্ষমতায় যখন থাকি, তখন চাটুকার মোসাহেবের অভাব নেই। আমি চাই না, শেখ কামালকে নিয়ে চাটুকার-মোসাহেবরা ক্ষমতার রাজনীতিতে মেতে উঠুক। কারণ দুঃসময় এলে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে কাউকে খুঁজে পাব না।নির্মোহভাবে শেখ কামালের জীবন, চরিত্র ও ব্যক্তিত্বকে অনুসরণ করার আহŸান জানিয়ে শেখ কামালের মতো ক্রীড়া সংগঠক বাংলাদেশে আজ অনেক বেশী প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল কিন্তু ক্রীড়া অঙ্গনকে রাজনীতির উর্ধ্বে রেখেছিলেন। কাজেই ক্রীড়াঙ্গনকেও আপনারা রাজনীতির উর্ধ্বে রাখবেন। এটা আমার আবেদন। ক্রীড়াঙ্গন আমাদের সকলের। ক্রীড়া অঙ্গনের সফলতা ধরে রাখতে হলে আমাদের রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে হবে। পলিটিক্স করলে ক্রীড়াঙ্গন নষ্ট হয়ে যাবে।শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সালমান এফ রহমান, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রাক্তন ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল টুটুল।

Share this content:

Related Articles

Back to top button