বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে তিস্তার রফা করে আসবেন, প্রত্যাশা ফখরুলের

এবিএনএ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরের মাধ্যমে দেশবাসী সুখবর পেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারত থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির একটা সমাধান নিয়ে আসবেন এমন প্রত্যাশাই আমরা করছি।

ফখরুল বলেন, আজকে গেছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে এই সরকারের নাকি সুউচ্চ সম্পর্ক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যতবার ভারত যান বারবার আমরা হতাশ হই। যতবার যান আসার পর দেখি আমাদের মূল সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয় না।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের মাধ্যমে দেশের জনগণ সুখবর চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয় না, তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় আমাদের বন্যা হয়ে যায় সেই সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা আছে তার সমাধান হয় না। জনগণ চায় তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে। আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরের মধ্য দিয়ে সীমান্তে যেন হত্যা বন্ধ হয়ে যায়।

কাবাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি নিয়ে দুদিন ধরে বেশ আলোচনা চলছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, জামিন পেলে বিদেশ যাবেন খালেদা জিয়া। পরে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে প্রধামন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন। এমতাবস্থায় মির্জা ফখরুল আজ জানালেন খালেদা জিয়া কারো দয়ায় মুক্ত হবেন না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এটাই তাদের ইতিহাস। তাদের চরিত্রের মধ্যে গণতান্ত্রিকতা বলতে কিছুই নেই। ’৭৫ সালে বাকশাল সৃষ্টির মাধ্যমে একদলীয় শাসন চালু করতে চেয়েছিল। আজ কৌশল পাল্টে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।

ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্যাসিনো নিয়ে খুব লাফালাফি হচ্ছে। অথচ তার চেয়ে অনেক বড় সম্পদ লুট হয়ে গেছে। সেটি হলো ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আওয়ামী লীগ লুট করে নিয়ে গেছে। সেজন্যই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নাকি এই সরকারের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। কিন্তু, সে দেশের নেতারা বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। তারা বলেন, আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে, উত্তর প্রদেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এসব কথায় স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন হই।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের কেউ ভারতে গেছে বলে মনে করি না। এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা, যা দিয়ে বাংলাদেশের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আয়োজক সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব জামান, জাহানারা খাতুন, জাকির হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।

Share this content:

Back to top button