এ বি এন এ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তর আমেরিকার দু’টি দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ১১ দিনের সরকারি সফরে বুধবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ২২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করবেন। প্রথম পর্বে ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগদানের উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম চারদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফর করবেন।
এরপর সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ‘জিএফ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে আগামীকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা লন্ডনের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হবেন।
একই দিন লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ব্রিটেনের রাজধানীতে ২২ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটযোগে লন্ডন থেকে কানাডার মন্ট্রিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি মন্ট্রিলের পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে (মন্ট্রিল সময়)।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী এবং অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে মন্ট্রিলের হোটেল ওমনি মন্ট-রয়্যাল-এ নিয়ে যাওয়া হবে। কানাডা সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলের অনুষ্ঠেয় এই রিপ্লেনিসমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
পরে বিকেলে তিনি একই হোটেলে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লেজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেয়া আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। ১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই দিনে তিনি ‘রিমুভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এম্পাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-১ এবং ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-২-এ অংশ নেবেন। তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। ১৯৭১ সালে জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সমর্থন ও অবদান রাখেন। তার প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়্যার অনার’ মরণোত্তর পুরষ্কার জাস্টিন ট্রুডোর কাছে হস্তান্তর করবেন। তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বিশ্ব তহবিল ও গ্লোবাল সিটিজেন আয়োজিত কনসার্টও উপভোগ করবেন।