আমেরিকালিড নিউজ

মার্কিন বিমান থেকে হিঁচড়ে নামানো হলো এশীয়কে

এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ সংস্থা ইউনাইটেড এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট থেকে টেনেহিঁচড়ে এক এশীয় যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই উড়োজাহাজের অন্য যাত্রীদের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সোমবার সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত রোববার শিকাগো থেকে কেনটাকির লুইসভিলমুখী ইউনাইটেড এক্সপ্রেসের ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানে অতিরিক্ত যাত্রী ছিলেন। স্বেচ্ছায় নেমে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে কেউ উড়োজাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি। তখন পুলিশ ডাকা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মধ্যবয়স্ক এক যাত্রীর সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করছেন শিকাগোর বেসামরিক বিমান বিভাগের তিন পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চিৎকার করছিলেন। তাঁর শরীরে রক্ত দেখা যায়। অন্য যাত্রীরা সেটা দেখছিলেন, আর কেউ কেউ সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। ভিডিওতে এক যাত্রীর কণ্ঠে শোনা যাচ্ছিল, ‘হায় ঈশ্বর! দেখো তুমি লোকটার কী করেছ!’

এই ভিডিও টুইটার, ফেসবুক ও গুগলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনাইটেড এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন উড়োজাহাজটির প্রধান নির্বাহী অস্কার মুনজ। তিনি বলেন, ওই যাত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ঘটনার তদন্ত হবে।

যে যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়েছে, তিনি একজন চিকিৎসক। তাঁকে যখন নেমে যাওয়ার জন্য বলা হয়, তখন তিনি নিজের পেশাগত পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন যে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। তাঁর পক্ষে উড়োজাহাজ থেকে নেমে যাওয়া সম্ভব নয়।

এই ভিডিও পোস্ট করে জয়েস ডি আনসপাচ নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘ফ্লাইটে যাত্রী নেওয়া হয়েছিল আসনের চেয়ে বেশি। আর ইউনাইটেড এক্সপ্রেসের চার কর্মীর পরদিন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তারা চাইছিল, যাত্রীদের মধ্যে চারজন যেন স্বেচ্ছায় নেমে যান। কিন্তু কেউ নিজে থেকে নেমে যেতে রাজি না হওয়ায় তারা চারজনকে বেছে নেয়। তারা একজন এশীয় চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীকেও নেমে যেতে বলে। কিন্তু ওই চিকিৎসকের পরদিন হাসপাতালে দায়িত্ব ছিল। তাই তিনিও আপত্তি করেন। ১০ মিনিট পর ওই চিকিৎসককে রক্তাক্ত অবস্থায় উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তিনি বারবার বলছিলেন—আমার বাড়ি যেতে হবে।’

Share this content:

Back to top button