
এবিএনএ : আজ সাড়ে এগারটায় রাজধাণীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও তারা একধরণের ভীতি ও আশঙ্কার দোলাচালে দুলছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, ক্যাডারদের দৌরাত্ব্যের মাত্রা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম কমাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছেন না। যদিও নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কাজ সিসিটিভির মতো স্বচ্ছ হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন তথাপিও এখন পর্যন্ত সেটির কোন নজীর দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এমনিতেই সন্ত্রাসকবলিত এলাকা, সুতরাং বৈধ অস্ত্র জমা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কোন উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। রাষ্ট্রক্ষমতায় স্বৈরাচারী শাসক থাকলে পুলিশ রাজনৈতিক সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে নির্বাচনী মাঠের সমতা আনয়নের জন্য অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় প্রশাসনে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বসিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি। সুতরাং নাসিক নির্বাচনকে ভয়ভীতিমুক্ত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোন বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি সই হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দর ব্যবহার করতে ওপেন স্কাই সুবিধা চায় ভারত। ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর, সড়ক ও মুক্ত আকাশ সুবিধা নিলে আক্ষরিক অর্থেই আমাদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বলে কিছুই থাকবে না। বর্তমান বিনাভোটের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে একের পর এক চুক্তি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তারা ভারতের হাতে উজাড় করে দিচ্ছে। অথচ বিনিময়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কিছুই পায়নি। ভারত একতরফাভাবে অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এক লিটার পানিও তারা ছাড় দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে বলতে গেলে বিনামূল্যেই ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করে ভারত জবরদস্তিমূলকভাবে রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যূৎ প্রকল্প চালু করতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রতিবেশ, আবহাওয়া ধ্বংস করে বাংলাদেশী মানুষদের বিলুপ্তযুগের প্রাণীদের দলে ঠেলে দেয়ার আয়োজন চলছে। অথচ বিনাভোটের বাংলাদেশের নতজানু সরকার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা. দুরদর্শিতা প্রদর্শনের বদলে বিধ্বংসী ভাঙ্গনের ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে।
রিজভী বলেন, ভারতকে মুক্ত আকাশ সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে সেটি হবে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এবং আমাদের অস্তিত্ব বিপন্নকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমি সকল প্রকার দেশবিরোধী কর্মকান্ড থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি।
Share this content: