এবিএনএ: এই সিরিজের আগে পাকিস্তানের মাটিতে ৩ সংস্করণ মিলে কোনো জয় ছিল না। টেস্টে ঘরের মাঠে একটি ড্র সর্বোচ্চ সাফল্য। উপরের দুটি পরিসংখ্যানই এবার বদলে ফেললো বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে টেস্টে প্রথম জয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের মাটিতেও প্রথম জয় পেলো টাইগাররা। এবার আজ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের সঙ্গে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এই প্রথমবার কোনো পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। বিদেশে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সিরিজ জয়টি এসেছে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঝামেলায় সেবার দ্বিতীয় সারির দল খেলায় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে টেস্টে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস ১৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করেন। মিরাজ ৭৮ আর লিটন করেন ১৩৮ রান।
এরপর বল হাতে হাসান মাহমুদের ৫ ও নাহিদ রানা ৪ উইকেটে পাকিস্তানকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেটা তাড়া করতে নেমে গতকাল বিকেলেই ঝড়ো শুরু এনে দেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ সকালে আরেকটি ক্যামিও খেলেন ফেরেন জাকির (৪০)। এরপর সাদমানও দ্রুত ফিরলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৬ রানের ব্যবধানে শান্ত ও মুমিনুল ফিরলে বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
এর আগে একই মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৬ রানে। ফলে জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের ওপেনিং জুটিতেই স্বল্প লক্ষ্য টপকে যায় টাইগাররা। ওটা ছিল পাকিস্তানের মাটিতে ও টেস্টে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।