জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ভালো ওষুধ তৈরি করতে না পারলে ফ্যাক্টরি বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এবিএনএ: দেশে উৎপাদিত ওষুধের মান এবং ওষুধ ফ্যাক্টরি নিয়মিত তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ওষুধের মান সঠিক আছে কিনা তা নিয়মিত তদারকির জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ফ্যাক্টরি তারা পরিদর্শন করবে। যেসব ফ্যাক্টরি মানসম্মত ওষুধ তৈরি করতে পারবে না, যাদের লোকবল নেই, যন্ত্রপাতি নেই, সেসব ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্পন্ন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশ রপ্তানি হচ্ছে। এই মান যাতে বজায় থাকে আমরা কাজ করছি। যেসব কোম্পানি ভালো ওষুধ তৈরি করতে পারছে না, ব্যবস্থাপনা নেই, এমন প্রতিষ্ঠান আমরা আগে বন্ধ করেছি। যারা নিয়ম ফলো করছে না এগুলো আমরা বন্ধ করে দেব।’

সরকারি সংস্থা নতুন কারখানার মাধ্যমে দুষ্পাপ্য টিবির ওষুধ তৈরি করবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারি সংস্থা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে টিবি ড্রাগ (যক্ষ্মার ওষুধ) তৈরি হবে। সাধারণ টিবি ড্রাগ আমাদের দেশে তৈরি হয় না। কেউ করতেও চায় না। এটা ইম্পোর্ট করে আনতে হয়। টিবি ড্রাগটা এখন বাংলাদেশেই তৈরি হবে ইডিসিএলের মাধ্যমে। এই নির্দেশনা অলরেডি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ অসংক্রামক ব্যাধির বিস্তার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোক অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যায়। এর মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। প্রতিবছর এক লাখ লোক ক্যান্সারে মারা যায়। দেড় লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অসংক্রামক ব্যধির মধ্যে ক্যান্সার ছাড়াও স্ট্রোক রয়েছে, হার্ট অ্যাটাক রয়েছে, কিডনি ফেইলর রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড। বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পুড়ে লোক মারা যাচ্ছে। আমাদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল, প্রতিটি বিভাগে কিডনি ডায়ালাসিস সেন্টার স্থাপন করা হবে। এজন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে সরকারি অনুমোদনের জন্য প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছে।  সংক্রামক রোগ বিস্তার রোধ ও চিকিৎসার জন্য যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যয় বহুল। এজন্য স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানো দরকার।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কর্নার খোলার চিন্তা ভাবনা করছি। এতে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার দেওয়া হবে। আমরা বিভিন্ন কর্নার তৈরি করেছি। মা ও শিশুদের জন্য অটিস্টিক, শিশুদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য একটি ডেডিকেটেড কর্নার আমরা করতে চাই। যাতে ছোট অসুখ-বিসুখের জন্য ওখানে তারা প্রাইমারি হেলথ কেয়ারটা পাবেন। এর মাধ্যমেই আমরা সমতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি।’ এ সময় স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, বাবলু কুমার সাহা, মহাপরিচালক নাসিমা আকতার, অতিরিক্ত সচিব স্মৃতিরাণী ও সুভাস সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button