এবিএনএ: আসন্ন হজ উপলক্ষে লাখো মুসল্লির মক্কায় আগমন নিঃসন্দেহে এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। পবিত্র এই নগরীতে প্রবেশের আদব বা শিষ্টাচার পালনের মাধ্যমে এই সফর আরও পবিত্র ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। আপনি যেভাবে পয়েন্ট আকারে আলেমদের পরামর্শ ও হজবিষয়ক শিষ্টাচার তুলে ধরেছেন, তা অত্যন্ত উপকারী। নিচে সংক্ষেপে মক্কায় প্রবেশের আদবসমূহ-এর সারাংশ ও তাৎপর্য তুলে ধরা হলো:
🕋 মক্কায় প্রবেশের শিষ্টাচার (আদবসমূহ)
১. হুদাইবিয়ায় (শুমাইসি) নামাজ আদায়:
-
মক্কার সীমান্তে প্রবেশের আগে, বিশেষ করে হুদাইবিয়ায় পৌঁছে (বর্তমানে শুমাইসি) দুটি রাকাত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব।
২. তাওবা, ইস্তেগফার ও তালবিয়া পাঠ:
-
এই পবিত্র সফরের সময় বেশি করে তাওবা (পশ্চাৎপসরণ), ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা), দরুদ ও তালবিয়া পাঠ করা উচিত।
৩. জান্নাতুল মুআল্লার দিক থেকে প্রবেশ:
-
মসজিদুল হারামের উত্তর দিক তথা জান্নাতুল মুআল্লার দিক দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব হিসেবে গণ্য।
৪. গোসল করে প্রস্তুত হওয়া:
-
মক্কায় প্রবেশের আগে গোসল করা মুস্তাহাব। যেহেতু গাড়ি চলাচলের কারণে অনেক সময় রাস্তায় গোসল সম্ভব হয় না, তাই রওনার আগেই গোসল করে নেওয়া উত্তম।
৫. বাবুস সালাম (২৪ নম্বর গেট) দিয়ে প্রবেশ:
-
কাবা শরিফ দর্শনের সময় ২৪ নম্বর গেট “বাবুস সালাম” দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব, কারণ এটি কাবা শরিফের দিকে মুখোমুখি হয়।
৬. তালবিয়া পাঠ ও বিনয়:
-
কাবার দিকে প্রবেশের সময় তালবিয়া পাঠ করতে করতে বিনয়ের সঙ্গে, দুনিয়াবি গর্ব ভুলে আত্মসমর্পণের চেতনায় প্রবেশ করা উচিত।
৭. মসজিদে প্রবেশের সুন্নত অনুসরণ:
-
ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা।
-
‘বিসমিল্লাহ’ বলা, দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং দোয়া করা:
আল্লাহুম্মাফতাহ্লি আবওয়াবা রাহমাতিক।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।”
📌 উপসংহার:
পবিত্র মক্কায় প্রবেশ শুধু একটি ভ্রমণ নয়; এটি আল্লাহর ঘরে আগমন। তাই তা হওয়া উচিত পরিপূর্ণ ইখলাস, বিনয়, পরিশুদ্ধ অন্তর ও আদবের সঙ্গে। এই আদবগুলো স্মরণ রাখা এবং অনুসরণ করাই একজন মুত্তাকীর পরিচয়।
Share this content: