পতিতা আটক করায় ওসি কাজী ওয়াজেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

এবিএনএ: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নানান কৌশলে দেহব্যবসাসহও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে তা হয়তো অনেক কম বেশি জানে। তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় দেহব্যবসায়ীদের অসংখ্য আখড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। গত ১৪ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাছে একটি আবাসিক এলাকায় রমরমা দেহব্যবসার চালানো অভিযোগে অভিযান চালিয়ে বসে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। সেখান থেকে হাতে নাতে ধরা পড়া বেশ কয়েকজন দেহব্যবসায়ীকে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে মামলা দাযের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
আসামীদের আদালতে চালান দেয় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। কিন্ত ঘটনার আড়ালে জন্ম হয় আরো একটি ঘটনার। অভিযানের সময় পুলিশকে টাকা দিয়ে আপস মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হলেও পুলিশ তাতে কর্ণপাত না করেই তাদের দায়িত্ব পালন করে। ফলে ঐ দেহব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে থাকা এক নারীর চক্ষুশুলে পরিণত হয় পুলিশ৷ সেদিনের পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন ঐ নারী। পুরোনো ক্ষোভ জমিয়ে রেখে জামিনে বের হয়েই মামলা ঠুকে দেন যাত্রাবাড়ী মডেল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তারা সকলেই ঐ নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে! তারমধ্যে মোছাঃলাইজু নামে যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত একজন “নারী” সাব-ইন্সপেক্টরও আছেন! সচেতন মহল প্রশ্ন তুলছে নারী পুলিশ কিভাবে মামলার বাদী নারীকে ধর্ষণ করলো?
পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী ওয়াজেদ দীর্ঘদিন যাবত যাত্রাবাড়ী থানার মতন একটি ব্যস্ততম থানায় সুনামের সহিত কর্মরত দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় অসংখ্য ব্যক্তিদাবি দপরিকল্পিত ভাবে ওসি কাজী ওয়াজেদ কে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। এই বিষয় ষড়যন্ত্রের শিকার ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন- আমার নামে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে- আমার দ্বারা এমন কাজ সম্ভব কিনা তা আমার সহকর্মীরাই জানে। তবুও যিনি আদালতে মামলা করেছেন তার সেই মামলার তদন্তও আইনানুযায়ী চলছে। এটা আদালতের ব্যাপার। আমার বেশী কিছু বলার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের থানাকর্তৃক অনৈতিক অভিযানের তৎপরতা বাড়ানোর প্রেক্ষিতে আমাদের থামানোর একটা অপচেষ্টার অংশও হতে পারে এই মিথ্যা মামলা।
Share this content: