
এবিএনএ : পঞ্চগড়ে চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। শীতের সঙ্গে ঘনকুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিন ধরে একটানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে এখানে গত মঙ্গলবার ৯.২ ও বুধবার ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দেশের অন্য এলাকার তুলনায় এখানে অন্যান্য দুর্যোগ না থাকলেও শীতকালটি এ এলাকার মানুষের প্রধানতম একটি দুর্যোগ। শুধু মানুষ নয়, এখানে পশুপাখিরাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মৃদু মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ আর ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। রাতের বেলা ঝরছে কুয়াশা বৃষ্টি। হিমালয়ের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের রুক্ষতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে অসহায় দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে।
জানা গেছে, শীত এলে এখানকার মানুষ সবদিক থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে। শীতবস্ত্রের অভাবে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। এ সময়টাতে গ্রামের কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই মানুষকে আগুন পোহাতে হয়। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেন না। কাজকাম করতে পারছেন না। একদিকে মানুষ তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্যদিকে কাজকর্ম না থাকায় মানুষের আর্থিক সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুনর রশিদ জানান, এবার এখন পর্যন্ত একটানা শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশা নেই। সকাল বা দুপুরের পর সূর্য্য উঠছে এ কারণে এবার ফল ও ফসলের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন বিত্তবানরা এমনটি আশা করছেন পঞ্চগড়বাসী।
Share this content: