

এবিএনএ : হুঁশিয়ারি অনেক দিন ধরেই দিচ্ছিলেন, এ বার কাজেও তাই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কাল সোমবার সাফ জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে আর কোনও রকম আর্থিক সাহায্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
আর একদিন পরে মঙ্গলবারই পাকিস্তানের ২৫৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক অনুদান বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘরের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নেয় তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে এই অনুদান দেওয়া হবে কিনা।
ট্রাম্প গত কাল টুইটে লেখেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের বিনিময়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা কথা এবং ধোকা ছাড়া আর কিছুই পায়নি। সন্ত্রাসবাদীদের দেশের মাটিতে সেফ হেভেন তৈরি করে রেখেছে পাকিস্তান। ’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ অফিসার জানিয়েছেন, ফরেন মিলিটারি ফাইনান্সিং খাতে পাকিস্তানকে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান আর দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আগেই পরিষ্কার করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিক পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের তরফ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। ’
গত কাল ট্রাম্পের টুইটের ঘণ্টা খানেক পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ তার জবাবে লেখেন, ‘কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটের জবাব দেবো ইনসাল্লাহ… সারা বিশ্বকে সত্যিটা জানাব… বাস্তব এবং অবাস্তবের মধ্যে তফাতটা বলব…’
পরে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় টুইট করে রীতিমতো আমেরিকাকে দোষী সাব্যস্ত করে লেখে, ‘সন্ত্রাসবাদ দমনে আমেরিকার সঙ্গী হিসাবে পাকিস্তান আমেরিকাকে স্থল, আকাশ পথ ব্যবহার করতে দিয়েছে এবং সব রকম সামরিক সাহায্য করেছে গত ১৬ বছর ধরে। এর ফলেই আল-কায়েদাকে দমন করা গিয়েছে।
কিন্তু বদলে আমেরিকা অবিশ্বাস ছাড়া কিছুই দেয়নি। সীমান্তের ওপারে যে সব সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানিদের খুন করে তাদের দেখেও দেখে না। ’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে দলমত নির্বিশেষে সকলেই সমর্থন করেছেন। বহু সিনেটর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিও দেন।
Share this content: