জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

নির্মাণাধীন ৩ ট্যুরিজম পার্কের মহাপরিকল্পনা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

এবিএনএ : কক্সবাজারে নির্মাণাধীন তিনটি ট্যুরিজম পার্কের মহাপরিকল্পনা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তিনটি পার্ক হলো- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক (জালিয়ার দ্বীপ) এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ তিনটি পার্ক নির্মাণের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন উপলক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিনটি পরিকল্পনার উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই তিনটি ট্যুরিজম পার্কের মধ্যে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মিত হচ্ছে মহেশখালী উপজেলায় এবং সাবরাং ও নাফ ট্যুরিজম পার্ক জেলার টেকনাফ উপজেলায় নি‌র্মিত হ‌চ্ছে।

জানা গে‌ছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) উপকূল এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এসব পার্ক নির্মাণ করছে। বেজার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০০ একর জমিতে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হবে। অপরদিকে জেলার টেকনাফ উপজেলায় ১০৪৭ একর জমিতে সাবরাং ট্যুরিজম নির্মাণ হবে। দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে উন্নত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়‌ন করতেই এ তিনটি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। টেকনাফের সাবরাং পার্কে থাকবে রিসোর্ট, শপিং সেন্টার, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ আধুনিক সুবিধা। নাফ ট্যুরিজম পার্কে পাঁচতারকা মানের হোটেল, কটেজ, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট ও শিশু পার্ক থাকবে। বেজার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শুধু পর্যটক‌দের সু‌বিধাই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখবে।বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সোনাদিয়া দ্বীপে যে পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখা‌নে হেরিটেজ, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ ৬টি জোন থাকবে। এছাড়া সোনাদিয়া দ্বীপ রক্ষায় প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এই পার্কগুলো বাস্তবায়ন হলে ৪০ হাজার পর্যটক একসঙ্গে সুবিধা পাবে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button