আমেরিকা

নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করছে চীন

এ বি এন এ : যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উত্তাপ কেবলমাত্র মার্কিন মুলুকেই আটকে নেই। যদিও এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়নি কারো। কিন্তু তারপরেও বসে নেই চীনের ব্যবসায়ীরা। দেশটির চীনের প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বানাতে শুরু করেছে দুই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোশ।

নানা কারণে আলোচিত রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, চীনা কোম্পানিগুলো তার দেশের মুনাফা বাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু, তাতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়নি চীনের প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ট্রাম্পেরই কয়েক মিলিয়ন রাবার মুখোশ বানাচ্ছে তারা মুনাফার আশাতেই। এদের মধ্যে বড় অর্ডারটি পেয়েছে জিনহুয়া পার্টটাইম নামের প্রতিষ্ঠান।

প্রধান নির্বাহী জ্যাকি চেন বলছেন, তার প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক মিলিয়ন রাবারের মুখোশ।

তিনি বলেন, “আমার হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই বেশি ভালো লাগে। যদিও দুই দলের কাছ থেকেই আমি মুখোশের প্রায় সমান সংখ্যক অর্ডার পেয়েছি”।

চেন বলছেন, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই তার পণ্য পৌঁছে যাবে মার্কিন মুলুকে। আর সে লক্ষ্যে চলছে তুমুল তোড়জোড়। কিছু ক্ষেত্রে অর্ডারের চেয়ে বেশি মুখোশ বানিয়ে রাখছে তার প্রতিষ্ঠান, আর তার বড় অংশটিই ট্রাম্পের।

যুক্তরাষ্ট্রে কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না, যেকোনো উৎসব পার্বণ কিংবা প্রতিবাদ বিক্ষোভেও রাবার মুখোশের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
বিখ্যাত যেকোনো ব্যক্তিত্ব, হোক তা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা সিনেমার চরিত্র অথবা কোন বড় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব—বাজারে খুঁজলে এদের সবারই মুখোশ পাওয়া যায়।

এর বড় অংশটিই আসে চীন থেকে। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে তার প্রধান কুশীলবদের মুখোশের অর্ডার বাড়বে তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।

পার্টি হাউজ নামে প্রতিষ্ঠানটি বানাচ্ছে মূলত হিলারি ক্লিনটনের মুখোশ। আর সেক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মুখের খুঁটিনাটি লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে তাদের।

কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের ডিজাইনাররা প্রতিটি খুঁটিনাটি খেয়াল করছেন। যেমন, হিলারির মুখোশে আমরা তার মুখের আসল প্রতিচ্ছবিটি ফুটিয়ে তুলতে চাই। ধরুন তার বলিরেখা। তার চোখের চারপাশে যে ছোট ছোট বলিরেখাগুলো আছে, আমরা সেসব খুঁটিনাটিও তুলে ধরতে চাই। ”

অনেক উদ্যোক্তাই কৌতুক করে বলছেন, চীনে ট্রাম্পের যে জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে নির্বাচিত হলে তিনি চীন থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দিতে পারেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button