জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

নির্বাচন বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে: টিআইবি

এবিএনএ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে রাখা, বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জাল ভোট দেয়ার মতো অনিয়ম ঘটেছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দ্বৈচয়নের ভিত্তিতে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনার উপর গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব অনিয়মের কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৪৭টি আসনে নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়মের ধরনের মধ্যে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে রাখা, আগ্রহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে তাড়ানো বা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জাল ভোট দেয়া, ভোটারদের জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স, ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া এবং প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া উল্লেখযোগ্য।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ টিআইবির নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সুলতানা কামালসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হয়নি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নেয়নি। সব দলের সভা-সমাবেশ করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিলো না। এতে আরো বলা হয়, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সরকারের ভূমিকার প্রেক্ষিতে অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নীরবতা পালন করেছে বা ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকার করেছে। সব দল ও প্রার্থীর প্রচারণা সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি এবং একই সাথে সব দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সার্বিক পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে তাতে নির্বাচন বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না সেটা আমরা বলতে পারবো না।

Share this content:

Related Articles

Back to top button