এবিএনএ : ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। অধ্যাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি ৬ মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে। বিচারক বদলি হলেও মামলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
নতুন এ বিধানে তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোনও কারণে বদলি হয়ে যান সেক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক সময়। তবে কোনও বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন সংসদের অধিবেশন নেই এবং আশু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে, তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ করতে পারবেন। ভেটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইনাল কার্যকর হয়ে যাবে। এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে। মানুষের অ্যাওয়ারনেসটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। এর ফলে একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যারা এই ক্রাইমটি করবে তারা চিন্তা করবে এতে তো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ব্রিফিংয়ের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
Share this content: