আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

ধর্মগুরুর যৌনাঙ্গ কেটে নিলো কেরালার ছাত্রী

এবিএনএ : ধর্ষণের চেষ্টা করতেই এক ‘স্বঘোষিত বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন ভারতের কেরালার এক ছাত্রী। কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে এ ঘটনা ঘটেছে বলে কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ‘বাবা’র নাম স্বামী গঙ্গেশানন্দ ওরফে হরি স্বামী। তিনি কেরালার কোল্লামের পনমানা আশ্রমের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।
আইন বিষয়ে পড়ুয়া ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তাকে সারিয়ে তুলতে স্বামী গঙ্গেশানন্দের শরণাপন্ন হন তার মা। রোগ সারিয়ে তোলার নামে ওই ‘বাবা’ প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। গত আট বছর ধরে তাকে বিভিন্ন সময় হরি স্বামী ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তরুণীর। তার যখন ১৬ বছর বয়স, তখনই প্রথমবার এই স্বঘোষিত গুরুর ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাকে।
ঘটনাটি নাকি জানতেন ওই তরুণীর মা। কিন্তু ধর্মবাবার হুমকির কারণে কোনোদিনও বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। বাবার অসুস্থতা, মায়ের ভয়, এইসব কিছু মিলিয়ে এতদিন মুখ বুজেই সবটা সহ্য করে গেছেন বলে জানিয়েছেন এই ছাত্রী। তবে আর পেরে ওঠেননি। গত শুক্রবার আবার বাড়িতে আসেন ওই গুরু এবং যথারীতি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই হাতের কাছে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন ওই তরুণী। তারপর নিজেই ফোন করে ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। পুলিশ এসে ‘স্বঘোষিত বাবা’কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, যৌনাঙ্গের ৯০ শতাংশ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে অস্ত্রোপচার করে সেটাকে ঠিক করার মতো অবস্থা ছিল না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি জানা সত্ত্বেও কেনো পুলিশে জানায়নি, সে কারণে ওই তরুণীর মাকেও জেরা করা হচ্ছে। তরুণীর অভিযোগ, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দ তার মাকেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।
কেরালার যে আশ্রম থেকে ওই বাবা এসেছিলেন, সেটি কোল্লামের একটি বিখ্যাত আশ্রম। আশ্রমের একজন শিষ্য এমন একটা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, বিষয়টি জানার পর আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১৫ বছর আগেই এই আশ্রম থেকে পড়াশোনা শেষ করে চলে গিয়েছিলেন গঙ্গেশানন্দ। কেরালার মহিলা কমিশনের এক সদস্য প্রমীলা দেবী বলেন, ‘ধর্মের নাম করে এমন ভণ্ডামি এবং কুকর্ম কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’ ওই তরুণী যোগ্য জবাব দিয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button