জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

দুর্নীতির কথা মুখে বললেই হবে না, তথ্য দেন ব্যবস্থা নেব: প্রধানমন্ত্রী

এবিএনএ: যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের কাছ থেকেও দুর্নীতির কথা শুনতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘দেশের কোথায় কি দুর্নীতি হয়েছে সে তথ্য দিতেও জাতীয় সংসদে আহবান জানানো হয়েছে।’ ‘কাজেই শুধু মুখে দুর্নীতির কথা বললেই হবে না, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন এমন লোকেদের কাছে দুর্নীতির কথা শুনতে হয় যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার মুলতুবি বৈঠকে দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গণভবনে এ বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সবসময় জাতির কল্যাণে কাজ করে এবং দেশের মানুষ এর সুফল ও পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণকে যে কথা দেয় সে কথা রাখে। জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করি এবং মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্বাচনী ইশতেহারকে স্মরণ রেখে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার দেশেবাসীর কাছে উপস্থাপন করে এবং সবসময় তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। নানা ধরনের কথা রটায় কিন্তু মুলত একটা পরিবর্তন যে এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায় আর তাছাড়া রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারতো আমরা প্রভূত উন্নতি করেছি।’

‘তারপরও এসব উন্নতিও অনেকে চোখে দেখেও না দেখার ভান করে, স্বীকার করতে চায় না, করতে চাইবেও না। কিন্তু যেটা আমি সবসময় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে সে ওয়াদা রক্ষা করে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রত্যেক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি, আমাদের কথা ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাবো সেটাও আমরা পেরেছি। দেশে এর মধ্যে দারিদ্রের হার অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই হার আরো ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।’

সবাই মিলে বিশ্ব মন্দা মোকাবেলা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণের বোঝা থেকে মানুষকে মুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করতে গিয়ে গরীব মানুষের ওপর এমন চাপ, যাদের সুদ দিতে গিয়ে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলেই যেতে হয়েছে অথবা আত্মহত্যা করেছে।’

‘কিন্তু এই গরীব মানুষের টাকা দিয়েই বিদেশে নামধাম করে তারা ভালই আছে, প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগও করছে। এই টাকাতো গরীবের রক্তের কামানো টাকা, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এত উন্নতি করার পরও একটা শ্রেনি আছে যাদের কোন কিছুই ভাল লাগে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেই, মানুষ সেসবের শুভ ফল পাচ্ছে। বর্তমান সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে কি-না, তা জানা নেই আমার। ‘জাতির পিতা যে স্বনির্ভরতার পথ দেখিয়েছিলেন, সেই পথেই হাঁটছে বর্তমান সরকার। ১৪ বছরে সঠিক পরিকল্পনায় মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে।’

Share this content:

Back to top button