এবিএনএ : সরকারি ভবন নির্মাণে অনিয়ম: রডের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের কঞ্চি! লুটপাটের এ কোন ধ্বংসাত্মক রূপ? এরকম বাঁশের চটার তৈরি ভবনে মানুষকে ঠেলে দিয়ে আরেকটি “রানা প্লাজা” ধ্বসের ঘটনা ঘটানো হতো!
দর্শনায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কৃষি অধিদপ্তরের নতুন ভবন। নব নির্মিত ভবনে শো পিলার ঢালাইয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে রডের সঙ্গে বাঁশের চটা। এলাকাবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন সরকারি ভবন নির্মাণে ঠিকাদারদের এই জঘন্য কাজ পুকুর চুরি নাকি হরিলুট? বুধবার বিকেলে নব নির্মিত ভবনের পার্শ্ববর্তী বাড়ির পরান, নাহিদ পারভেজ ও রুবেল সহ এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক ভবনের পাশে গিয়ে ভবনের শো পিলার ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহার করা দেখে ফেলে। এরপরই এ নিয়ে শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। পুকুর চুরি ঢাকতে এলাকাবাসীর সঙ্গে দেনদরবারে ব্যস্ত হয়ে ওঠে ঠিকাদারের প্রতিনিধি দল। কিন্তু বিধিবাম !
এলাকাবাসী এই অনিয়ম দেখে সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং ঢালাইকৃত পিলার হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে শুরু করে। পিলার ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে আসে মারাত্মক অনিয়মের আরও প্রমাণ। সেখানে দেখা যায় ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের চটা। জনগণের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ঠিকাদার প্রতিনিধি দলটি সটকে পড়ে। ৫ তলা ফাউন্ডেশনের সরকারি ভবনের পিলারে রডের বদলে বাশের চটা দেখে হতবাক এলাকাবাসী।
তাদের মুখে একটাই প্রশ্ন এতবড় অনিয়ম কীভাবে সম্ভব হয় ? এ ব্যাপারে নির্মিত ভবনের পর্যবেক্ষণে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুব্রত ভবন নির্মাণের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সাংবাদিকদের জানান, আমি গত ৩-৪ দিন নির্বানের ছুটির জন্য বাইরে ছিলাম। এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম তিনিও একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাবো। যারা এ কাজটি করেছে তারা এটি অনিয়ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।