আমেরিকালিড নিউজ

ভারতের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

এবিএনএ: আগামী এপ্রিল থেকে ভারতের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার পুনরায় ভারতকে উচ্চ শুল্কের জন্য লক্ষ্যবস্তু করেছেন ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন পারস্পরিক শুল্কের ক্ষেত্রে এবার নয়াদিল্লিকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক নীতি কার্যকর করবেন ট্রাম্প। মোটরগাড়ি শিল্পের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণের পর কংগ্রেসে প্রথম ভাষণ দিলেন ট্রাম্প। যৌথ অধিবেশনের ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ন্যায্য নয়। ২ এপ্রিল থেকে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। তারা আমাদের ওপর যে পরিমাণ শুল্ক দেবে আমরাও তাদের ওপর একই পরিমাণ শুল্ক দিব। তারা যদি আমাদের তাদের বাজার থেকে দূরে রাখতে শুল্ক ব্যবহার করে তাহলে আমরাও তাদের আমাদের বাজার থেকে দূরে রাখতে শুল্ক দিব।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের কয়েক সপ্তাহ না যেতেই ভারতের ওপর কর বসানোর এমন কড়া বার্তা দিলেন ট্রাম্প। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে আশা করা হয়েছিল। নয়াদিল্লির ব্যাপক আশা ছিল মার্কিন বাজারে তাদের পণ্য প্রবেশে শুল্ক ছাড়ে বিশেষ সুবিধা পাবে ভারত। সে লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর আগেই বোরবন হুইস্কির মতো বেশ কয়েকটি মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমিয়েছিল দিল্লি। তবে এই নীতি ভারতকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।

এমন পরিস্থিতিতে পারস্পরিক শুল্ক কমানোর চেষ্ট করবে নয়াদিল্লি। কেননা ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারতে কিছুটা বাড়তি সুবিধা দেয়। তার প্রথম মেয়াদে চীনকে লক্ষ্যবস্তু করায় ইলেকট্রনিক খাতে রপ্তানির সুযোগ পেয়েছিল ভারত।

কংগ্রেসকে সম্মোধন করে ট্রাম্প বলেন, অন্য বহু দেশ বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছে। এখন সময় এসেছে সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি প্রয়োগ করা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল এবং ভারতের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তুলনামূলক বেশি শুল্ক আরোপ করে বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি এ বিষয়টি অন্যায্য বলে অভিহিত করেছেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button