জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ঢাবি প্রক্টরের মদদে ডাকসুর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব: রাশেদ খান

এবিএনএ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানীর ‘প্রত্যক্ষ মদদ ও হস্তক্ষেপে’ ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান৷ বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় ঢাবি প্রক্টর গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেন এই ছাত্রনেতা।

গত রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়। এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান। এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

এ ঘটনার পর ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে গেছে। ডাকসু ভবনের বাইরে ও ভেতরে মিলিয়ে মোট ৯টি সিসি ক্যামেরা আছে। ডাকসুর সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদের কক্ষে এসব সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো ধারণ করা হতো। সেই কক্ষে একটি মনিটর ও একটি সিপিইউ ছিল। কিন্তু ওই হামলার ঘটনার পর থেকেই মনিটর ও সিপিইউটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনার তিনদিনেও এসবের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

Share this content:

Back to top button