জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ঢাকায় রোজ পানি ফুটাতেই পোড়ে ৫৮ কোটি টাকার গ্যাস!

এবিএনএ : ঢাকা ওয়াসার পানি সরাসরি পান করার মতো নিরাপদ নয়। এ কারণে নগরবাসী পানি ফুটিয়ে পান করেন। আর পানি ফুটানোর কারণে প্রতিদিন গ্যাস পোড়ে ৫৮ কোটি টাকার মতো। তবে পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে দাবি ওয়াসার। খবর সংবাদ সংস্থা ইউএনবির।

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর পুরান ঢাকার সুরাইয়া বলেন, ওয়াসার পানি সরাসরি পান করার মতো নিরাপদ নয়। আমি প্রতিদিন পরিবারের খাওয়ার পানির চাহিদা মেটাতে দুই দফায় প্রায় ৩০ মিনিট করে পানি ফুটাই।

সুরাইয়া আরও বলেন, এখনো রাজধানীর অনেক মানুষ সরাসরি ওয়াসার পানি পান করছে। আর এ কারণে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

শুধু সুরাইয়াই নন, ঢাকাবাসী অনেকে তাদের সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্য সরকারের সরবরাহ করা বিপুল পরিমাণ গ্যাস পোড়ায়। আর তা করতে গিয়েই বিপুল অর্থ হারাচ্ছে জনসাধারণ।

ওয়াসা কর্মকর্তাদের দাবি, এ সংস্থা যে পানি সরবরাহ করে তা পান করার জন্য নিরাপদ। কিন্তু পাইপলাইনে ফুটো হওয়ার কারণে শহরবাসীর কাছে সরবরাহের সময় পানি দূষিত হয়ে যায়।

তিতাস গ্যাসের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রায় ১৭ লাখ ৬৯ হাজার বাড়িতে গ্যাসের (এক ও দুই চুলা) সংযোগ দেওয়া আছে। তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেইন বলেন, এক চুলায় প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিউবিক ঘনমিটার গ্যাস পোড়ে। দুই চুলায় প্রতি ঘণ্টায় পোড়ে ২১ কিউবিক ঘনমিটার। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সম্প্রতি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করেছে ৩২ টাকায়।

সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজধানীবাসী গড়ে প্রতিদিন যদি আধা ঘণ্টা করে পানি ফুটায়, তবে গড়ে দিনে তারা প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস পোড়ায়। আর এ গ্যাসের আর্থিক মূল্য ৫৮ কোটি টাকা।

নগরবাসীর অভিযোগ, ঢাকার ওয়াসার অবহেলার কারণেই নগরবাসী ময়লা ও দূষিত পানি পায়। আর মাঝে মাঝে বাজে গন্ধের কারণে পানি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়।

Share this content:

Related Articles

Back to top button