
এবিএনএ : ২৪ ঘণ্টায় প্রথমবারের মতো হাসপাতালে দুই হাজার রোগীর ভর্তি দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে বলে জানান তিনি। সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন ।
দুই দশকের মধ্যে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্তার হয়েছে চলতি বছরে। আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৫ হাজার ছাড়ানোর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা নিয়ে আছে বিভ্রান্তি। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৪ বলা হলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের হিসাবে এই সংখ্যা ৬০ এর আশপাশে। প্রতিনিয়ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশের ইতিহাসে যা রেকর্ড। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দাবি এই পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা ভালো। মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সকলের প্রচেষ্টা এবং সচেতনতার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমেছে। যার যার বাড়ি আর আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেই দ্রুত এটি নির্মূল হয়ে যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে সবাই কাজ করছে। তাই পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।’ ঈদের সময় সরকারি হাসপাতালের মতো বেসরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আকন্দ, ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল আওয়াল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান প্রমুখ।
Share this content: