জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ডিএমপি’র এডিসি খোরশেদ আলমের পিতা অহিদুর রহমানের ইন্তেকাল

এবিএনএ : ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মোঃ খোরশেদ আলম এর পরম শ্রদ্ধেয় পিতা অহিদুর রহমানের আর নেই। গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১:০০ঘটিকার সময় তিনি মনোহরগঞ্জের খিলা ইউনিয়নের ভরনীখন্ড গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি বার্ধক্যজনিত সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৪ মাস আগে ঢাকা গ্রীনলাইফ হাসপাতাল, স্কয়ার হসপিটাল, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পিজি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। তিনি মোটামুটি সুস্থ’ হয়ে গত মাসখানেক আগে বাড়িতে আসেন। পিতার সুস্থতার সুযোগে গত ৮ এপ্রিল তাঁর সুযোগ্য ছেলে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মোঃ খোরশেদ আলম নিজের ও স্ত্রীর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যান। কিন্তু সিঙ্গাপুর গমনের ৩দিনের মাথায় পরম শ্রদ্ধেয় পিতার আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অনেক চেষ্টার পরও ফ্লাইট জটিলতার কারণে তিনি জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। গত ১১ এপ্রিল বাদ এশা কাশিপুর ঈদগাহে অহিদুর রহমানের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা অংশগ্রহণের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি কাশিপুর ঈদগাহে উপস্থত হন। মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় ভরে যায় জানাজা। পুলিশ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর পরম শ্রদ্ধেয় পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে উপস্থিত মুসল্লিদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাজার নামাজে উপস্থিত হওয়ায় তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে, মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। জানাজায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহ-আলম, খিলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, খিলা ইউপি আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, মরহুমের বড় ছেলে নুরুল আলম। জানাজায় বক্তারা মরহুম অহিদুর রহমানকে একজন সমাজ সেবক আখ্যা দিয়ে বলেন- সমাজের উন্নয়নে তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত নিবেদিতভাবে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম বিলাপ সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি সুবিধা বঞ্চিতদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি একজন সহজ-সরল ও ধর্মভীরু লোক ছিলেন বলে বক্তারা উল্লেখ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

Share this content:

Back to top button