জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

খুলল ক্ষতিগ্রস্ত সেতু সিলেটের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক

এবিএনএ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত তিতাস সেতু দিয়ে শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল। এতে ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে আবারো সিলেটের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল থেকে সবধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামী আল মামুন।

সোমবার দুপুরে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানান, শাহবাজপুর সেতুতে নতুন বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ায় সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে পুরোদমে যাবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

দীর্ঘ সাত দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সেতুটির উত্তর প্রান্তে স্থাপিত দুটি বেইলি ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্যে পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়। এর আগে রবিবার রাত থেকেই এক পাশের বেইলি সেতু ভারী যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে সেতু খুলে দেয়ার পর শতশত যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক সেতু পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। তবে এতে নতুন করে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়ক বিভাগ নির্ধারিত বিকল্প পথে চলতে না পেরে বিভিন্ন লাক্সারি বাস সার্ভিস তাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে। ফলে মহাসড়কে সোমবার দুপুর পর্যন্ত তেমন বাসের দেখা মিলেনি। শতশত ট্রাক সেতু পাড়ি দিয়ে এদিক ওদিকে যাচ্ছে।

সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেতুটি খুলে দেয়ায় সাধারণ মানুষ, বাস-ট্রাকের চালক এমনকি হাইওয়ে পুলিশের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সরাইল বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. হোসেন সরকার বলেন, আমরা এখন অনেকটাই স্বস্তিতে আছি। এ মহাসড়ক সচল হওয়ায় আমাদের পেরেশানি অনেকটা কমে গেছে।

গত ১৮ জুন বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর সেতুটির চতুর্থ স্পেনের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এরপরই সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। সড়ক বিভাগ বিকল্প পথ হিসেবে চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট এবং চট্টগ্রামের এবং সরাইল-নাসিরনগর হয়ে লাখাই এবং রতনপুর দিয়ে ঢাকা-সিলেট গন্তব্যের যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা দেয়। তবে এসব পথে মহাসড়কের যানবাহন চলাচল দুরূহ হয়ে পড়ে নানা সমস্যায়। মহাসড়কের গাড়ির চাপে ২/১ দিনের মধ্যেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিকল্প সড়কগুলো। চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের কয়েকটি স্থানে পণ্য বোঝাই ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button