

এবিএনএ: ‘কারচুপির নির্বাচন মানি না, মানব না’, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানব না’, ‘অবিলম্বে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে’ এমন স্লোগানে মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল। ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে এসব স্লোগানে বিক্ষোভ করছেন হলটির ছাত্রীরা। রোকেয়া হলে পুনর্নির্বাচন ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবি জানাচ্ছে হলটির ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। বিক্ষোভ এখনও চলছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, আজকেই প্রভোস্ট ম্যামকে পদত্যাগ করতে হবে। উনি না আসলে আমরা গেট থেকে রুমে যাবো না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ছাত্রীদের শান্ত হয়ে রুমে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। গতকাল ডাকসু নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রের পাশের একটি কক্ষ থেকে তিনটি ট্রাংকে ফাঁকা ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু এবং তার এক ঘণ্টা পর আবার ভোট বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় রোকেয়া হলের ছাত্রীদের অভিযোগ, মোট নয়টি ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় ছয়টি ব্যালট বাক্স দেখানো হয়। এসময় পাশের একটি কক্ষে বাকি তিনটি ব্যালট বাক্স খুঁজে পায় এবং কক্ষটির দরজা ভেঙে এসব ব্যালট বাক্স বের করে বাইরে নিয়ে আসেন।
তারা ওই ব্যালট বাক্সগুলোর তালা ভেঙে সেগুলোয় ব্যালট পেপার ভরা দেখতে পায়। তবে সেগুলোয় ভোট দেয়া ছিল না। এ ঘটনা পর বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয় রোকেয়া হলে। বিকেল ৩টায় ফের ভোট শুরু হয়। সেকারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি হলটির ছাত্রীরা বিক্ষোভ করছেন।
প্রসঙ্গত সোমবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট। এছাড়া নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ১৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ভোটের ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।