বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

এবিএনএ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে একেক জন ভোটারকে দিতে হবে ৩৮টি ভোট। জানা গেছে, ভোটারদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে দুটি ব্যালট পেপার। ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৫টি এবং হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

ডাকসু নির্বাচনে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) ফর্মে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক আব্দুল বাছির। প্রতিটি পদের জন্য আলাদাভাবে ব্যালট নম্বর ও প্রার্থীর নাম ওএমআর ফর্মে থাকবে। ভোটার নিজের আইডি কার্ড দেখিয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে প্রার্থীর নামের ডানপাশে নির্ধারিত ঘরে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বুথ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক আব্দুল বাছির আরও জানান, অস্বচ্ছ, স্টিলের তৈরি ও তালাবদ্ধ বক্সে ভোট নেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে একটি চেয়ার এবং একটি টেবিল রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য। বাঁশের তৈরি এই বুথগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা আছে। অতীতে সবুজ রঙের অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাই রঙের স্টিলের ব্যালট বাক্স।

ব্যালট বাক্স ব্যবহারের বিষয়ে ডাকসু নির্বাচনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‌‘ওএমআর ব্যালট পেপার ভাঁজ করা যাবে না। তাই আমাদের বড় ব্যালট বাক্স প্রয়োজন ছিল।’ এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসুর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান। ওই সময় তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া, ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। মার্চের ৩ তারিখ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১১ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় ৩ মার্চ। এর পর আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেন। নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে প্রচারণা শেষ করার নিয়ম ছিল। সে অনুযায়ী ১০ মার্চ সকাল ৮টায় প্রচারণা শেষ হয়। এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়বেন ২২৯ জন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩ জন।

এ ছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ৮৬ প্রার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button