
এ বি এন এ : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর পরিবারকে ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের দেখা করতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে কাশিমপুর কারাগারের চারপাশে এবং বিশেষ করে কারা ফটকের সামনে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পোশাকে এবং সাদাপোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। কারা ফটকেও তল্লাশি করে নিয়মিত দর্শনার্থীদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রাখা হয়েছে মীর কাসেমকে।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার শর্ত দিয়ে দুই দিন কাটানোর পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে গতকাল শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানান মীর কাসেম আলী। তাঁর ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোনো বাধা নেই। এখন যেকোনো সময়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি হতে পারে বলে জানান কারা কর্মকর্তারা।
কারা কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, আজ শনিবার রাতে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করার মতো প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। কাশিমপুর কারাগারেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। মানবতাবিরোধী অন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড যেভাবে কার্যকর করা হয়েছে, ওই প্রক্রিয়ায় মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ফাঁসি কার্যকরের আগে মীর কাসেম আলীর স্বজনেরা তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করার সুযোগ পাবেন। এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষই তাঁদের ডেকে পাঠাবে।
মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ে রিভিউ আবেদনই ছিল শেষ ধাপ। গত বুধবার মীর কাসেমের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই দিনই মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেন।
Share this content: