এবিএনএ: ফ্লোরিডা রাজ্যের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নতুন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিশ্চিত করেছে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট। যার ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আসছেন। বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, ৫৪-৪৬ ভোটে সিনেট বন্ডির নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। এই নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য বিচার বিভাগে আরও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে সম্প্রতি এমন কিছু প্রসিকিউটর ও এফবিআই এজেন্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলা তদন্তে যুক্ত ছিলেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যান ৫৩ জন রিপাবলিকানের সঙ্গে যোগ দিয়ে বন্ডির পক্ষে ভোট দেন। ৫৯ বছর বয়সি বন্ডি গত মাসে একটি নিশ্চিতকরণ শুনানিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় রাখবেন এবং অপরাধ বা দেওয়ানি মামলায় রাজনীতি প্রবেশ করাবেন না।
তবে আইনপ্রণেতারা এখনো উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প যদি অবৈধ বা অনৈতিক কোনো আদেশ দেন, তবে বন্ডি তা প্রতিহত করবেন কি না, বিশেষ করে যখন ট্রাম্পবিরোধী বেশ কয়েকজন প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন সব নাগরিক ও অপরাধ তদন্ত সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে।
বন্ডি, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেছেন, ২০২০ সালের প্রথম অভিশংসন বিচার চলাকালীন ট্রাম্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ট্রাম্পের ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপির কিছু অসত্য দাবি সমর্থন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জানা গেছে, বন্ডি ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপে শেয়ারধারী, যা তার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।বন্ডি ছিলেন ট্রাম্পের দ্বিতীয় পছন্দ। তার প্রথম পছন্দ, সাবেক কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ, হাউস ইথিক্স কমিটির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও মাদকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান এবং কংগ্রেসের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
গেটজ এখন পর্যন্ত একমাত্র ট্রাম্প মনোনীত ব্যক্তি যিনি তার মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে মঙ্গলবার সিনেট কমিটি ট্রাম্পের আরও দুটি বিতর্কিত মনোনয়ন—রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে নিশ্চিত করার বিষয়ে অগ্রগতি দেখিয়েছে।