এ বি এন এ : রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছা অনুযায়ী অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হলে নিউইয়র্ক সিটি বার্ষিক ৭৯৩ মিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হবে। সিটি কাউন্সিলের স্পিকার মার্ক ভিবেরিটো পরিচালিত এক বিশেষ পর্যালোচনা-জরিপে এ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। স্পিকার নিজেই তা প্রকাশ করেছেন। স্পিকার ভিবেরিটোর এই জরিপে আরো জানা যায়, সিটির ৫ বরোতে বসবাসরত অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের তাড়িয়ে দেয়ার ফলে সিটিতে উৎপাদন হ্রাস পাবে ২৫ বিলিয়ন ডলারের। আর এটি হচ্ছে সিটির মোর্ট অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ৩%। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাবে ৩ লাখ ৪০ হাজার। অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের দ্বারা এই বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। স্পিকার আরো উল্লেখ করেন, এক কোটি ১০ লক্ষাধিক অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সকলকেই যদি গ্রেফতার করে বহিষ্কার করা হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় হবে ৪০০ থেকে ৬০০ বিলিয়ন ডলার। নিউইয়র্ক রাজ্যকে বহন করতে হবে ৪৯.২ বিলিয়ন ডলার। নিউইয়র্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন ‘ট্রাম্প টাওয়ার’র সামনে ‘এসোসিয়েশন ফর এ বেটার নিউইয়র্ক’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে গত বুধবার স্পিকার আরো উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের পরিপন্থি কথাবার্তা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে প্রেসিডেন্টের অযোগ্য করে তোলছেন। কারণ, ঢালাওভাবে অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বহিস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা বাড়বে। কম্যুনিটিতে অস্থিরতা শুরু হবে। সামাজিক নিরাপত্তা অটুট রাখা দুষ্কর হয়ে পড়বে। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, এই সিটিতে বসবাসরত ২ লাখ ৬৩ হাজার লোক রয়েছে, যারা এসেছেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র থেকে। এর মধ্যে এক লাখ ৫৭ হাজার জন কাজ করে সিটির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বছরে ১৪.২ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখছেন। এর পরও রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ট্যুরিস্ট, যারা প্রতি বছর আসছেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এই ট্যুরিস্টরা ব্যয় করেন ১.২ বিলিয়ন ডলার। স্পিকার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ট্যুরিস্টরা সবচেয়ে বেশী অর্থ ব্যয় করে থাকেন এই সিটিতে।