এ বি এন এ : যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক টমাস স্টোসেল। তাঁর স্ত্রী কেরি ম্যাগুয়ার একাধারে দন্তচিকিৎসক ও গবেষক। উচ্চশিক্ষিত এই দম্পতির ২০ বছর সংসার এখন ভাঙার হুমকিতে। কারণ আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ঘটনার শুরু চলতি বছরের মে মাসে। ওই মাসের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছার কথা স্ত্রী কেরি ম্যাগুয়ারকে জানান টমাস স্টোসেল। এমন ইচ্ছার কথা বলে স্ত্রীর চূড়ান্ত হুমকি শুনতে হলো স্টোসেলকে।
স্বামীকে হুমকি দিয়ে কেরি ম্যাগুয়ার বলেন, ‘ট্রাম্পকে ভোট দিলে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমি কানাডা চলে যাব।’
স্ত্রীর হুমকি শুনে হেসেছিলেন টমাস স্টোসেল। স্ত্রী কেরি ম্যাগুয়ার তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, মোটেই মজা করছেন না তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জনজীবনে যেমন বিতর্ক দেখা গেছে, একই রকম বিতর্ক হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনেও। নির্বাচনের মতাদর্শের প্রভাব পড়েছে বন্ধুত্ব, বিয়ে, প্রেম, সম্পর্ক ও পরিবারে।
নির্বাচনের প্রভাবের জ্বলন্ত উদাহরণ স্টোসেল-ম্যাগুয়ার দম্পতির সংসারের সংকট।
৭৪ বছর বয়সী টমাস স্টোসেল ও ৫৯ বছর বয়সী কেরি ম্যাগুয়ারের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। ২০১২ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় আইওয়া অঙ্গরাজ্যে তাঁদের বাড়ির সামনে দুই ধরনের নির্বাচনী প্রচারণার বার্তা দেখা যায়। তৎকালীন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বারাক ওবামার পক্ষের প্রচারটি ছিল কেরি ম্যাগুয়ারের। আর রিপাবলিকান মিট রমনির পক্ষে প্রচার করেছেন টমাস স্টোসেল। তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে দুজনের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
গত মাসের শেষ থেকেই একের পর এক বিতর্ক জড়িয়ে ভালোই সমর্থন হারিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার হিলারির বিরুদ্ধে অস্ত্র অধিকার আইনের প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে লাগামহীন কথাবার্তার জন্য ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন রিপাবলিকান দলের নেতারাই। তাঁকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে অনেককে।