খেলাধুলা

টানা ৮ জয়ে বিশ্বকাপের পথেই ব্রাজিল

এবিএনএ : ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করলেন নেইমার। গোলটা নিজের এক ভুলের সংশোধনই বলা যায়। তার কিছুক্ষণ আগেই যে পেনাল্টি মিস করেছিলেন। বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে অসাধারণ দক্ষতায় দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জালে পাঠিয়ে দিলেন। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের ৩-০ গোলের জয়ে নেইমারের অবদান কেবল এই দারুণ গোলটিই নয়। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবলও খেলেছেন তিনি। দুর্দান্ত খেলেছেন কুতিনহোও। একটি গোল তাঁরও। মার্সেলো তৃতীয় গোলটি করে ব্রাজিলের টানা অষ্টম জয়টা নিশ্চিত করেন। ব্রাজিলকে নিয়ে যান ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের হাতছোঁয়া দূরত্বে।
ম্যাচটিই যেন নেইমারের। শুরু দিকে প্যারাগুয়ের খেলোয়াড়দের মারমুখী আচরণটাই যেন প্রত্যয়ী করে তুলেছিল তাঁকে। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি মিস করে আক্ষেপ করলেও ৭২ মিনিটে কিন্তু নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেলেও পেতে পারতেন। প্যারাগুয়ের জালে বল পাঠিয়ে কিছুটা উদ্‌যাপন সেরে ফেললেও লাইন্সম্যানের চোখে তিনি ছিলেন অফসাইড।
এই জয়ে ব্রাজিল লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানটা ধরে থাকল। আর্জেন্টিনার সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান—১১। দশ দলের বাছাইপর্বে কমপক্ষে পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করাটাও এক প্রকার নিশ্চিত। লাতিন অঞ্চলের পঞ্চম দলটি ওশেনিয়ার একটি দলের সঙ্গে প্লেঅফ খেলে জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপে। ১৪ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট ৩৩।
ম্যাচের শুরুর সুযোগটা অবশ্য পেয়েছিল প্যারাগুয়েই। ডেরলিস গঞ্জালেস অবশ্য সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দেওয়ার আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন হার্নান পেরেজ। ব্যর্থ হন তিনিও।
৩৪ মিনিটে পাওলিনহোর সঙ্গে দারুণ ওয়ান টু ওয়ান খেলে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন কুতিনহো। এরপর পাওলিনহো ও নেইমার নষ্ট করেন আরও দুটি সুযোগ।
৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন নেইমার। ৬৪ মিনিটে দারুণ গোল ব্রাজিলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন নেইমার। তবে করিন্থিয়ানসের অ্যারেনা সাও পাওলোর ৮০ হাজার দর্শককে আনন্দে ভাসিয়ে ৮৫ মিনিটে ব্রাজিলের তৃতীয় গোলটি করেন মার্সেলো। রাশিয়া বিশ্বকাপের খেলা কীভাবে দেখতে যাবেন, স্টেডিয়ামের দর্শকেরা তখন হয়তো এই আলোচনা শুরু করেই দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button