এবিএনএ : ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চাইলেই একজন গুরুগম্ভীর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর চেহারা ধারণ করতে পারেন। ব্যাপারটা সোজা, কিন্তু খুবই ‘বোরিং’। শনিবার কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে দুটি ভিন্ন জনসভায় তিনি দাবি করেন, একজন প্রেসিডেন্টের মতো ব্যবহার করার জন্য তাঁর ওপর চাপ আছে। কিন্তু সে পথে পা বাড়াচ্ছেন না তিনি।
ট্রাম্পের নতুন প্রধান নির্বাচনী উপদেষ্টা পল ম্যানাফোর্ট এই সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় দলীয় নেতাদের এক বিশেষ সভায় যুক্তি দেখান, কড়া কড়া যেসব কথার জন্য ট্রাম্প সমালোচিত হয়েছেন, তা আসলে একধরনের অভিনয়। তিনি চাইলেই নিজেকে বদলে নিতে পারেন। ট্রাম্প নিজে অবশ্য সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। হার্টফোর্ডে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তাঁর বক্তব্যের ঝাঁজ কমাতে তিনি আগ্রহী নন।
ফ্লোরিডায় দলের বৈঠক থেকে আভাস মিলেছে, নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে তাঁর বিশাল জয়ের পর রিপাবলিকান নেতৃত্বের মধ্যে ট্রাম্পের ব্যাপারে বিরোধিতা কমছে। ‘ট্রাম্প ঠেকাও’ নামে যে প্রচার অভিযান ইতিপূর্বে শুরু হয়েছিল, দলের চেয়ারম্যান রাইন্স প্রিবাস তাকে দলের জন্য ক্ষতিকর আখ্যায়িত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই বৈঠকে ট্রাম্প তাঁর ভাবমূর্তি পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেন।
দলীয় নেতৃত্বের এই নমনীয় মনোভাবের মূল কারণ, জনমত জরিপে ট্রাম্পের অবস্থান ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলের যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে প্রাইমারি হবে, তার প্রতিটিতেই ট্রাম্প এগিয়ে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ বিশেষজ্ঞ নেট সিলভার জানিয়েছেন, বাছাইপর্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ক্যালিফোর্নিয়া, সেখানেও ট্রাম্প সবার চেয়ে এগিয়ে। ইন্ডিয়ানাতে ক্রুজ এগিয়ে, এমন ইঙ্গিত এক সপ্তাহ আগেও মিলেছিল, কিন্তু সর্বশেষ জরিপে ট্রাম্প ও ক্রুজ সমানে সমান। এমনকি জাতীয় জরিপেও ট্রাম্প গত এক সপ্তাহে আরও দুই পয়েন্ট এগিয়েছেন।