
এবিএনএ : আজ ১৭ই মার্চ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। বাঙালি জাতির জীবনের এক আনন্দের দিন। জাতীয় শিশু দিবসও আজ। বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। একাত্তরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেদিন গোটা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের গৌরব-সম্মান আরেকবার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বাঙালি জাতি আজ কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালিকে। রাজধানীসহ সারাদেশেই আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করবে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি।
বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। খোকা নামের এই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন।
গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন। সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর এ কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ; যার মাধ্যমে তিনি প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। ১৯৩৮ সালে আঠারো বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সাথে বেগম ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্ররা হলেন শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই কালো রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যর সহিংস হামলায় পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ শহীদ হন স্বাধীনতার এই মহানায়ক। বাঙালি জাতি হারায় এক ক্ষণজন্মা পুরুষকে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী:বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তাঁর কর্ম ও আদর্শ চিরকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতির নন, তিনি বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত। তিনি জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’ তিনি বলেন, ‘শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমতনির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাদের বাংলাদেশ ও জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।’ তিনি মহান আল্লাহর কাছে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং আগামীদিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
রাজনীতি যার যার বঙ্গবন্ধু সবার-জেপি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, রাজনীতি যার যার কিন্তু বঙ্গবন্ধু সবার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জাতির জন্ম দিয়েছিলেন এবং সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে রয়েছেন। অসামান্য ত্যাগ, নির্ভীকতা, অপূর্ব সাংগঠনিক ক্ষমতা, অসাধারণ বাগ্মিতা এবং মহানুভব হৃদয় তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিতে রূপান্তরিত করেছে। জেপি নেতৃদ্বয় আরো বলেন, জাতির জনকের জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। পাশাপাশি জাতির জনক ও তাঁর শহীদ পরিবারবর্গের মাগফেরাত কামনা করছি।
কর্মসূচি:বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে জাতির পিতার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়াতে প্রতিবারের মত বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকাল দশটায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণসহ বাদ জুমা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া সেখানে শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এর আগে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দিবসটি পালনে জেলা ও উপজেলা সদরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ডিএফপি ও গণযোগাযোগ অধিদফতরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সারাদিন ধরেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের রেকর্ড বাজানো হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: দলটির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং বাদ জোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় শেখ রাসেল স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা শিশু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সেলাই মেশিন বিতরণ, ভিডিও প্রদর্শন, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। বইমেলা উদ্বোধন ও শিশুদের আঁকা ‘আমার ভাবনায় ৭ই মার্চ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীও পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া আগামীকাল রবিবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
৭১ হাজার স্থানে কোরআনখানি: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীসহ সারাদেশের ৭১ হাজার ৫৩৫টি স্থানে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শিশু সমাবেশ, রচনা প্রতিযোগিতা, র্যালি, হামদ-না’ত, গজল পরিবেশন ও আবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল সদস্যের রূহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমস্থ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম ’শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি: সকাল ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আবাসিক হলের মসজিদ ও উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শনিবার সকালে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আজ শনিবার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিনামূল্যে এই সেবা পাওয়া যাবে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
Share this content: