জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

জলাবদ্ধতা ৭০ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে: তাপস

এবিএনএ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার জলাবদ্ধতা ৭০ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বংশাল এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সামসাবাদ খেলার মাঠের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। তাপস বলেন, ২০২০ সালেও একটু বৃষ্টি হলে শহর প্লাবিত হয়ে যেতো। মনে হতো বন্যা হয়ে গেছে। সেখান থেকে আমরা জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় খাল ও নর্দমা সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর গৃহীত কার্যক্রমের ফলে জলমগ্ন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের বড় দুশ্চিন্তা অবশ্যই জলমগ্নতা এবং জলাবদ্ধতা। তবে আমরা যখন ২০২০ সালে দায়িত্ব নেই তখন খাল, নর্দমাগুলো আমাদের দায়িত্বে ছিল না। তখন অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেত, প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হতো যেন বন্যা হয়ে গেছে। আমরা যখন সোচ্চার হয়েছি, তখন প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর নেতৃত্বে খাল এবং নর্দমাগুলো আমাদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। এরপর আমরা ১৩৬টি স্থান নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। যার ফলে জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নেমে এসেছে। কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন জায়গা ছাড়া এখন আর জলমগ্নতা নাই।

যেসব কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো শেষ হলে আগামী মৌসুমে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না বলেও জানান মেয়র। এ সময় মেয়র সামসাবাদ খেলার মাঠের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) সংলগ্ন জায়গায় একটি পলাশ গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আ. মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button