জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার আশংকায় চীন!

এবিএনএ: ‘জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং সম্পদ’ এটি প্রথম প্রমাণ করেছিল চীন। বিপুল দক্ষ জনশক্তি দিয়ে তারা নিজেদের গড়ে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে। কিন্তু শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২৯ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১৪৪ কোটি ২০ লাখে পৌঁছাবে। পরের বছর থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনবরত কমতে থাকবে এ জনসংখ্যার হার।
চীনা অ্যাকাডেমি অব সোসাল সায়েন্সের (সিএএসএস) প্রকাশিত জনসংখ্যা ও শ্রমিকের গ্রিন বুকের নতুন সংস্করণের সংক্ষিপ্তাসার থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে শ্রমসক্ষম জনসংখ্যা এখন স্থিতি অবস্থায় আছে। এছাড়া তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশে বয়োবৃদ্ধ জনসংখ্যা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে। বিশেষ করে যদি সন্তান জন্মদানের সংখ্যা কমতির দিকে থাকে। এতে বলা হয়েছে, তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, দীর্ঘসময় ধরে জনসংখ্যা পড়তির দিকে থাকলে, বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ সংখ্যা যদি একসময় বাড়তে থাকে, তবে তা সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিকূল অবস্থা তৈরি করে। চলতি শতকের মাঝামাঝিতে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৬ কোটিতে রূপ নেবে। এতে দেশটির ২০ কোটি কর্মশক্তি কমে যাবে। যদি উৎপাদন হার অপরিবর্তিত থাকে, তবে ২০৬৫ সালের দিকে জনসংখ্যা কমে ১১৭ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে।
সিএসএস প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে ২০৬০ সাল পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত জনসংখ্যার হার বেড়ে যাবে। দেশটির জনসংখ্যার বয়স কাঠামোতে ভারসাম্য আনতেই এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়।
Share this content: