এবিএনএ : ‘প্রাণঘাতী নয় এমন কৌশল অবলম্বন করার ফলে মৃত্যুর ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা গেলেও অপরাধীদের দ্বারা বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসএফ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে নন মিথানল অস্ত্র ব্যবহার করে।’
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৪তম সীমান্ত সন্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা এসব কথা বলেন।
পাঁচদিন ব্যাপী সীমান্ত সন্মেলন শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি সদর দফতরে দুই দেশের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিবি নতুন ক্যাম্প নির্মাণে ভারতের সীমান্ত সড়ক ব্যবহার করতে দিয়েছে। সমন্বিত সীমান্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অস্ত্র, গোলাবারুদ, জাল টাকা, গবাদিপশু, কাপড় ইত্যাদি পাচার প্রতিরোধে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বিএসএফ মহাপরিচালক পরিবেশ দূষণ রোধে ভারতের আগরতলা ও আগরতলার প্রান্তে ইটিপি স্থাপন ও বাংলাদেশের আখাউড়া প্রান্তে বক্স কালভার্টসহ ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
সীমান্তে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সব ধরনের পাচার ও জঙ্গি আস্তানা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ভারত থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ চোরাচালান প্রতিরোধে দুই দেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।