এ বি এন এ : ‘বাংলাদেশের সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয়, সরকার চুপচাপ বসে নেই। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য কাজ করে যাচ্ছে দেশটির সরকার।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা বলেন। সোমবার বাংলাদেশে তার সফরকালে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে দেয়া এক ভাষণ পরবর্তী প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক স্টিভ হার্মেন জানতে চান, ‘বাংলাদেশ সরকার নিজ দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করছে কিনা?’ এর উত্তরে কেরি বলেন, আমি বিশ্বাস করি না বাংলাদেশ সরকার কিছু লুকোতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আমি দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তাদের আমি জানিয়েছি ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলে থাকা আইএসআইএল পৃথিবীর আটটি ভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া একটি। তারা এখানে থাকা তাদের কিছু অনুসারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে আমি জানিয়েছি তাদের। এ বিষয়ে তারাও কোন দ্বিমত করেননি। আমার ধারণা যখন মন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশেই এদের জন্ম’ এর অর্থ হচ্ছে এখানে কোন বিদেশি যোদ্ধা কিছু করতে আসেনি, এখানেরই কেউ এ ধরণের কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এই কথার অর্থ এটা নয় যে তারা ইন্টারনেটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোথাও থেকে অনুপ্রাণিত হয়নি।
বক্তব্যে জন কেরি বলেন, মনে রাখতে হবে, কোন দেশি জঙ্গিবাদের হুমকি থেকে মুক্ত নয়। সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়া খুবই সহজ। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বছরে ৩৬৫ দিন, সপ্তাহে ৭ দিন এবং প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা ঠিক কাজটি করে যেতে হয়। কিন্তু কেউ যদি মনে করে সে জঙ্গি হবে এবং নিজেকে হত্যা করবে, সে বাহিরে গিয়ে যে কোন সময় হত্যা করতে পারে।
জন কেরি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আমরা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় পরস্পরকে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। এ সময় জন কেরি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিস্তীর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ফান্ডের অধীনে তৃণমূল পর্যায় থেকে জঙ্গিবাদ দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।