
এবিএনএ : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকে সফল দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শনিবার সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিদায় জানিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন চীনের সঙ্গে কাজ করছি, আবার আমরা ভারতের সঙ্গেও কাজ করছি। আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে হবে। একা আমাদের পক্ষে কোনো কিছুই সম্ভব না।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘চীন এখন সুপার পাওয়ার। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেখছি, তারা গঠনমূলক। এখানে চীনকে নিয়ে আতংকের কোনো কারণ নেই।’ নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে গত পাঁচ-সাত বছর ধরে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। পশ্চিমা বিশ্ব বলে কিন্তু বাস্তবায়নে খুবই কম। কিন্তু, চীন বাস্তবায়নে খুব তৎপর। কোনো সময়েই ফাঁকি দেয় না।’
মিয়ানমারের সঙ্গে বিরাজমান সমস্যাগুলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মিয়ানমার আর বাংলাদেশ এক না। আমরা হলাম ভারতবংশীয় অরিজিন। আমাদের এই ভূখণ্ড মিয়ানমারের চেয়ে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই সাব-কন্টিনেন্টকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না। আমাদের এখানে চীন বারবার আসে কেন? আমাদের জন্যই আমাদের কাছে আসবে।’
কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিল্প-সাহিত্য, নিরাপত্তা, সবকিছু জড়িত। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়। চীনের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল- আমাদের এই অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা। এটা আমাদের অগ্রাধিকার।’
চীনা প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এক সিস্টেমে চলে, আমরা এক সিস্টেমে চলি। আমরাও তাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করি না। তারাও আমাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করে না।’
তিন দশক পরে চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট শুক্রবার দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। ব্যস্ত সময় পার করে শনিবার সকালে তিনি ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
সফরে তার ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ।
দু’দেশের ‘সর্বাত্মক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা’র সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার’ জায়গায় নিয়ে যেতেও সম্মত হয়েছেন শেখ হাসিনা ও শি জিনপিং।
শি জিনপিংয়ের এই সফরে বাংলাদেশ-চীন ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যার আওতায় বাংলাদেশ চীন থেকে ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ-সহায়তা পেতে যাচ্ছে।
Share this content: