আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা

এবিএনএ : আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজের নেতৃত্ব পাকাপোক্ত করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিসি) সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির (পিবিএসসি) নতুন নেতাদের নাম প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

স্থানীয় সময় বুধবার রাজধানী বেইজিংয়ে গণমানুষের মহান হল তথা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পিবিএসসির সাত সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়, যাঁদের পাঁচজন নতুন।

ওই সাতজনের মধ্যে আগের কমিটিতে থাকা শি জিনপিং এবারও পার্টির প্রধান (সাধারণ সম্পাদক) হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন আগের কমিটির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। এই কমিটির নতুন সদস্যরা হলেন লি ঝানশু, ওয়াং ইয়াং, ওয়াং হুনিং, ঝাও লেজি ও হান ঝেং।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় সম্মেলন (কংগ্রেস) শেষে নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা আসে। প্রতি পাঁচ বছরে একবার চীনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বিশদ কর্মসূচি নিয়েছি, যা আগামী পাঁচ বছর ধরে বাস্তবায়িত হবে। এ লক্ষ্যে কিছু কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আরো কাজ করতে হবে।’

‘কয়েক দশক ধরে কঠোর পরিশ্রমের পর চীনা বৈশিষ্ট্যসংবলিত সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে’, যোগ করেন শি।

মঙ্গলবার কংগ্রেস চলাকালেই শির দর্শন ‘চীনা বৈশিষ্ট্যসংবলিত সমাজতন্ত্র’ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে ভোট দেন প্রতিনিধিরা। গণচীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের পর শি জিনপিংই কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় নেতা, জীবিত অবস্থাতেই যাঁর মতাদর্শ পার্টির গঠনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

নতুন কমিটিতে বরাবরের মতো শির অবশ্যম্ভাবী কোনো উত্তরসূরি রাখা হয়নি। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ২০২২ সালে পার্টির নেতা হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করার পরও তাঁর সামনে থাকছে ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ।

নতুন সদস্যদের সবার বয়স ৬০ বা তার বেশি। কমিটির কনিষ্ঠতম সদস্য ঝাও লেজির বয়স ২০২২ সালে হবে ৬৫ বছর।

২০০৭ সালে স্থায়ী কমিটিতে আসার সময় শির বয়স ছিল ৫৪ বছর।

শি জিনপিংয়ের বিষয়ে ‘প্রাচীন কোনো বুদ্ধিমত্তা, কোনো অনুসারী নেই : চীনের কর্তৃত্ববাদী পুঁজিবাদের চ্যালেঞ্জ’ (নো অ্যানশিয়েন্ট উইজডম, নো ফলোয়ারস : দ্য চ্যালেঞ্জেস অব চায়নিজ অথরিটারিয়ান ক্যাপিটালিজম) শীর্ষক গ্রন্থের লেখক জেমস ম্যাকগ্রেগর বলেন, ‘(শি) আমৃত্যু কোনো না কোনোভাবেই ক্ষমতায় থাকবেন।’ তিনি বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দেং জিয়াওপিং আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ ছিলেন।

Share this content:

Back to top button