অর্থ বাণিজ্য

চার মাসে অর্থছাড় ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার

এবিএনএ : চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথম চার মাসে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় হয়েছে ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ হচ্ছে ৬৫ কোটি ২৭ লাখ এবং অনুদান ৯ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৭৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৮ কোটি ৪৬ লাখ এবং অনুদান ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ হিসাবে বৈদেশিক অর্থছাড়ের হার বেড়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হাল নাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইআরডি সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের হার কমেছে। চলতি অর্থবছরের চার মাসে সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে মোট ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আসলের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ৩২ লাখ এবং সুদের পরিমাণ ৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধের পরিমাণ ছিল মোট ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসলের পরিমাণ ২৯ কোটি ৯২ লাখ এবং সুদের পরিমাণ ৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই- অক্টোবর) ১৮৪ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের বৈদেশিক অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে। এর মধ্যে ঋণের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে ১৮১ কোটি ৪১ লাখ এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার।

অর্থবছরের শুরুতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া একবারেই প্রায় ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বৈদেশিক অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছিল ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১৯ কোটি ৫২ লাখ এবং অনুদান ৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এ বছর বৈদেশিক অর্থ সহায়তার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে। কারণ বড় বড় প্রকল্পে দাতারা অর্থায়ন করছে। অন্যদিকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে অর্থছাড় বেশি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রশিয়ার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতির অর্থ যোগ করলে মোট প্রতিশ্রুতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে।

Share this content:

Back to top button