আইন ও আদালত
‘চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ কেন যাচাই করা হবে না’

এবিএনএ : সরকারি চাকরিজীবী (বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক কেন যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জামুকার মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের পৃথক দুইটি বেঞ্চ একাধিক রিট আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করে। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথকভাবে এ রুল জারির আদেশ দেয়।
চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করবে মর্মে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এ মহাপরিচালক পৃথক একটি আদেশ জারি করেন। যা গত ৮ নভেম্বর একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘জামুকা কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।’
এ অবস্থায় সব গণকর্মচারী (চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে জামুকার এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক দুইটি রিট আবেদন করেন খাদ্য অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার এস এম সোহরাব হোসেন এবং নাটোরের অবসরপ্রাপ্ত অডিট অ্যান্ড একাউন্টস কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে হাইকোর্ট পৃথক রুল জারি করে।
রুলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণকর্মচারীদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটকারী পক্ষে আইনজীবী ড. রফিকুর রহমান, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও হাসনাত কাইয়ুম শুনানি করেন।
Share this content: