খেলাধুলা

নারী ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এবিএনএ : হেইলি ম্যাথিউজের ঝড়ো ব্যাটিং এবং অধিনায়ক স্টেফানি টেলরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব ভেঙে দিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে অসিদের ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েই শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে তারা। ফলে টানা চারবার শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়া হলো না অস্ট্রেলিয়ার। প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করলো টেইলরের দল।

স্টেফানি টেলরদের সঙ্গে মাঠে এসে উল্লাসে মাতেন পুরুষ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও। আর ক্যারিবীয় নারী ক্রিকেটাররা মাঠের মধ্যেই মেতে ওঠে গেইলদের নতুন আবিষ্কৃত ড্যান্সের তালে তালে।

অস্ট্রেলিয়া নারীদের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে শুরুতে দারুন সাবধানি ব্যাটিং করেছিল ক্যারিবীয়রা। প্রথম দুই ওভারে রান তুলেছিল মাত্র ৩। পাওয়ার প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৫ রান। তবে এরপরই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন হেইলি ম্যাথিউজ। দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩.৩ ওভারে শতরানের কোটা পার করে তারা।

ম্যাথিউজ ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশত তুলে নিতে বল খেলেন মাত্র ৩৫টি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ক্রিস্টেন বিমসের বলে আউট হন তিনি। এ রান করতে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। শর্ট মিডউইকেটে তার ক্যাচটি লুফে নেন ব্ল্যাকওয়েল।

ম্যাথিউজের বিদায়ের পর দিয়েন্দ্রা ডট্টিনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক স্টেফানি টেলর। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে রিনি ফেরেলের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৫৯ রান করেন টেলর। তার ইনিংসটি ৬টি চার দিয়ে সাজানো। এরপর বাকি কাজ ব্রিটনি কুপারকে নিয়ে শেষ করেন ডট্টিন। শেষ পর্যন্ত ৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১টি করে উইকেট পান ফেরেল ও বিমস।

এর আগে রোববার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহই পায় তারা। দলীয় ১৫ রানে অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে প্রথম আঘাত হানেন হেইলি ম্যাথিউজ। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে সাজঘরে ফেরান আলিশা হেইলিকে (৪)।

এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এলিস ভিল্লানিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিং। ৭৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৯২ রানে দিয়েন্দ্রা ডট্টিনের স্লোয়ার বলে টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভিল্লানি। তবে আউট হবার আগে ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।

এরপর এলিশ পেরিকে নিয়ে ৪২ রানের আরও এক্তি দারুন জুটি গড়েন ল্যানিং। আনিশা মোহাম্মদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরার আগে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।

ভিল্লানি এবং ল্যানিং উভয়ই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে করেন। তবে ল্যানিংয়ে চেয়ে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন ভিল্লানি। মাত্র ৩৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন ভিল্লানি। আর ৪৯ বল মোকাবেলা করে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন ল্যানিং।

শেষ দিকে পেরির ২৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ডট্টিন ৩৩ রানে ২টি উইকেট পান। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ম্যাথিউজ ও আনিশা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button