বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ নয়, ফোনে কথাবার্তা হতে পারে

এবিএনএ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই। তবে যে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা হতেই পারে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাত্র তিন মাস বাকি। নির্বাচনের আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে তাই কারো সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক সংলাপের প্রয়োজন নেই।সেতুমন্ত্রী বলেন, তবে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা হতেই পারে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে সৌজন্যমূলক যোগাযোগ থাকলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা যায়। ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনের সামনে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের আকার বাড়তে পারে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জোটের আকার বাড়তেই পারে। অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা আমাদের জোটে আসতে চাইছে। আবার অনেকে আলাদা আলাদা জোট করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে অনেক রাজনৈতিক মেরুকরণ হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে তা জানার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার দোষীদের শাস্তির বিষয়ে সক্রিয় কিনা সেটা দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কেলেংকারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে যা ঘটেছে, তা ঘটতে পারে না। সরকার এ বিষয়ে নীরব নেই। কাদের বলেন, ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬’র রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এবং মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের সংশোধিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা না ঘটলে এ প্রকল্পের কাজ আরো আগে শেষ হত।সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্ররেলে ৬০ হাজার লোক যাতায়াত করতে পারবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর রাজধানীবাসী যানজটের কবল থেকে রেহাই পাবে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button