সন্তানদের যেসব তথ্য অবশ্যই জানতে হবে

এবিএনএ : সন্তান জন্মের পরই শুরু হয় বাবা-মায়ের নতুন অধ্যায়। শুরু হয় সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা। আর এ চেষ্টা তো সহজ কাজ নয়। এতে অনেক কাঠখর পোহাতে হয়, দিতে হয় ধৈর্যের পরীক্ষাও।কিন্তু তারপরও বাবা-মায়ের চেষ্টা থেমে থাকে না।
প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদে কখন যে সময় পার হয়ে যায়, সেটা বোঝা বড় দায়। আর আপনাদের এই বলিদানের উপরই স্থাপিত হবে আপনার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষৎ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান লালনে বাবা-মাকে অবশ্যই কিছু বিষয় জানতে হবে। এ দূর পথ পাড়ি দিতে তারা যেন কোনও অসুবিধার সম্মুখিন না হন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ নিম্নে আলোচনা করা হলো :
সব সময় চোখ খোলা রাখুন : সন্তান যখন ছোট থাকে, তখন কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল তা বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের থাকে না। তাই বাবা-মায়েদের সব সময় চোখ খোলা রাখতে হবে, যাতে তাদের সন্তান কোনও অসুবিধায় জড়িয়ে না পরে। মনে রাখবেন, আপনার সন্তান খুব চুপচাপ হয়ে গেলেই জানবেন সে কিছু বলতে চায়। তখন তাকে সময় দেয়াটা জরুরি।
স্বাধীনচেতা করুন : ছোট থেকেই সন্তানদের স্বাধীনভাবে চিন্তায় অনুপ্রাণিত করুন। এমনটা করলে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে, সেই সঙ্গে জীবন সম্পর্কে অনেক ভুল ধরণাই তাদের মনে বাসা বাঁধতে পারবে না।
সন্তানের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ : আপনার সন্তান কিন্তু অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়। তাই শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা খুব প্রয়োজন। এমনটা করলে সন্তান সম্পর্কে এমন অনেক কিছু জানতে পারবেন যা সে বাড়িতে একেবারেই বলে না। মনে রাখবেন, বাবা-মায়েদের সঙ্গে যদি শিক্ষক হাত মিলিয়ে একসঙ্গে শিশুর পাশে থাকে তাহলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
সামাজিক হতে হবে : সন্তানকে সবার সঙ্গে মিশতে দিন। এমনটা ভাববেন না যে স্কুলে তো অনেকটা সময়ই সে বন্ধুদের সঙ্গে কাটায়, তাহলে আলাদা করে আবার এসবের কী প্রয়োজন আছে! এটা একেবারেই ভুল ধরণা। কারণ বাচ্চার সার্বিক বিকাশের জন্য সামাজিক হওয়াটা একান্ত কাম্য।
Share this content: