এ বি এন এ : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার কানাডা প্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা শুনানি শেষে তাহমিদের এই জামিন প্রদানের আদেশ দেন।
সম্প্রতি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির গুলশান হামলায় তাহমিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে আগামী ৫ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু রবিবার এ আসামির ওই প্রতিবেদন অব্যাহতির আবেদনের কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী হামিদুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সঙ্গে এ আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পুনরায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একইদিন হাসনাত করিমের ওই রেস্তোরাঁয় হামলার মামলায় সরাসরি গ্রেপ্তার দেখিয়ে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তাবে তাহমিদকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাকে ৫৪ ধারায় মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে গত ২০ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
তাহমিদ হাসিবের আইনজীবীর দাবি, ঘটনাক্রমে গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন হাসিব। তিনি কানাডাতে একটি ইউনিভারসিটিতে গ্লোবাল হেলথের ওপর পড়ালেখা করছেন।
প্রসঙ্গত, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা গত ১ জুলাই রাত ৮টার পর হামলা চালায়। ওই সময় তারা তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। পরদিন সকালে অপারেশন থান্ডারবোল্ড চালানো হয়। পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয়। অভিযানে একজন জাপানি, দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই গুলশান থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ।
নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।