জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা চলছে

এবিএনএ : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী কর্তক ২৫ মার্চ নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যার দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা চলছে। শনিবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বৈঠকে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন ফেনী-১ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এমপি শিরিন আক্তার।

প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হউক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হউক।’ পরে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে সংসদে সেই সময়ে বর্বরতার স্থিরচিত্র ওভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন।

স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিরিন আক্তার বলেন, ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনী কাপুরষের মতো পাষবিক হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালির উপর। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে সামরিক অভিযান সংগঠিত হয়, যা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যা। তাই অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে এই দিনটি শুধু আমাদের কাছে নয়, বিশ্বের গণহত্যারও এক উদারহণ এবং স্মরণীয় দিন। সেদিন পাকিস্তানিরা আমাদের শুধু হত্যায় করতে চায়নি, বাঙালি জাতিসত্ত্বা হত্যা করার ব্রত নিয়ে অপারেশন চালিয়েছিল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম গণহত্যার কোনো সাক্ষী যেন না থেকে সে জন্য বিদেশি সাংবাদিকদের পরদিন সকালে বের করে দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয় আজকে সুসভ্য বিশ্বসমাজ ও বিশ্বমানবতার অগ্রযাত্রার সার্থেও অন্তত একটি দিন গণহত্যার মতো পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য নির্ধারিত থাকা প্রয়োজন।

এরপর বর্ষীয়ান পার্লামেন্টিয়ার তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনার সূত্রপাত হয়। আলোচনা শেষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবটি ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটে দেবেন। ‘হ্যা’ জয়যুক্ত হলে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে।

এর আগে ২ মার্চ সংসদের বৈঠকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা দিয়ে সংসদে আলোচনা  হবে। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠার পর আজকে এ নিয়ে আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।

Share this content:

Back to top button