এ বি এন এ : গণতন্ত্র রক্ষায় ভারতের সংসদ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি থেকে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সহসভাপতি রাহুল গান্ধীকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে রাজধানী দিল্লির যন্তরমন্তরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে অবশ্য থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ছেড়ে দেয়। গাড়িতে তারা সংসদের দিকে রওনা হন। তবে পুলিশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ করে দলটির নেতাকর্মীরা। তারা পুলিশ ব্যারিকেড টপকে থানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এদিকে সংসদ ভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘দমন-পীড়ন চালিয়ে কংগ্রেসকে ভীত-সন্ত্রস্ত করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখাবেন না, অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করবেন না। লড়াই কীভাবে করতে হয় তা আমি আমার জীবন থেকেই শিখেছি।’
সরকারের সঙ্গে একমত না হলে তাদেরই হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে সোনিয়া বলেন, বিজেপির দিন ফুরিয়ে এসেছে। হয়রানি বন্ধ না করলে জনগণ তাদের শিক্ষা দিয়ে ছাড়বে। বিজেপি সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসকে দুর্বল মনে করে ভুল করবেন না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল বা ধ্বংস হতে দেব না। মূলত আগাস্টাওয়েস্টল্যান্ড কেলেংকারির অভিযোগে সংসদের চলতি অধিবেশন শুরু থেকেই উত্তাল। সেখানে সোনিয়া গান্ধী, আহমেদ প্যাটেলসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনায় মুখর বিজেপি নেতারা।
বিজেপিকেও পাল্টা আক্রমণ করছে কংগ্রেস এবং বিভিন্ন রাজ্যে তার সহযোগী দলগুলোও। কংগ্রেস বলছে, ক্ষমতা থাকলে সিবিআই তদন্ত করিয়ে সরকার প্রমাণ করুক, সোনিয়া গান্ধী কেলেংকারিতে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিতে চাইছেন বলেও কংগ্রেস অভিযোগ করছে। আর এই অভিযোগ তুলেই শুক্রবার ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি মার্চে’র ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। অবশ্য বিজেপি বলেছে, কংগ্রেসের এই পদযাত্রা আসলে কেলেংকারির দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা।