

এবিএনএ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আজ মঙ্গলবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স বুম বার্নিকাটের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পচাত্তরের বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর বাধ্য হয়ে ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি প্রান্ত ঘুরে বেরিয়ে মানুষের দুরাবস্থা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায় তার পরিকল্পনা তিনি করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশের আজকের পর্যায়ে উত্তোরণ ঘটেছে।’
দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এক মওসুমের তরিতরকারি অন্য মওসুমে পাওয়া যেত না। কিন্তু আমরা এখন সারাবছর জুড়েই সবধরনের তরিতরকারি পাচ্ছি, এটা আমাদের গবেষণা এবং কৃষি গবেষকদের অবদান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীন সাফল্যও কামনা করেন।
মার্সিয়া স্টিফেন্স বুম বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিদায়ী সাক্ষাৎকালে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত-উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ‘চমকপ্রদ’ আখ্যায়িত করে ‘এই প্রজন্মই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে’ বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শিক্ষাকে সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, যে কোন দেশের উন্নয়নে এটি একটি বড় বিষয়। বার্নিকাট এদেশে উৎপাদিত আম এবং লিচুরও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, তাঁর মূল লক্ষ্যই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
ড্যান মজিনা বিদায় নিলে তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বার্নিকাট। তার উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন মার্কিন মেরিন কোরের সাবেক কর্মকর্তা আর্ল রবার্ট মিলার। প্রায় চার বছরের কাছাকাছি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করা বার্নিকাটের প্রিয় ফল বাংলাদেশের আম আর লিচু। এটাও তিনি বিদায়ী সাক্ষাতে শেখ হাসিনাকে জানান।
বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের যুব সমাজের প্রশংসা করে বলন, তারাই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।